ট্রাম্পের নোবেল টিকিট! পাকিস্তান সেনাপ্রধান মুনিরের সঙ্গে হোয়াইট হাউজ বৈঠকে কী চমক?

Sourav Mondal
2 Min Read
ট্রাম্প মুনির বৈঠক

ট্রাম্প আসিম মুনির হোয়াইট হাউজ : ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজে মধ্যাহ্নভোজে মুখোমুখি হলেন মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। বৈঠকটি যতটা সৌজন্যমূলক মনে হচ্ছিল, বাস্তবে তার থেকেও অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র পরে জানান, এই লাঞ্চের নেপথ্যে রয়েছে এক অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব—ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে চেয়েছেন মুনির। সেই প্রস্তাবেই আমন্ত্রণ হোয়াইট হাউজে।

ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও। আইএসপিআর-এর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার শক্তিশালী অংশীদারিত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ট্রাম্প নাকি আশ্বাসও দিয়েছেন, ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

ট্রাম্পের নিজের কথায়, “আসিম মুনিরকে আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছি কারণ তিনি যুদ্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীও এখানে ছিলেন। দু’জনেই অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং শান্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়, কারণ তাঁরা দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের নেতা।”

কংগ্রেসের একটি সূত্র আগে দাবি করেছিল, ১৪ জুন মার্কিন সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুনিরকে। পরে হোয়াইট হাউজ জানিয়ে দেয়, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে এমন আমন্ত্রণ দেওয়া হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে লাঞ্চে আমন্ত্রণ জানান, আর মুনির পাল্টা ‘নোবেল মনোনয়নের’ প্রস্তাব দেন।

হোয়াইট হাউজের বাইরেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প ফের প্রশংসা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বললেন, “মোদী একজন দুর্দান্ত মানুষ। গতকাল রাতে ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। তবে তার থেকেও বড় কথা, আমি যুদ্ধ বন্ধ করেছি। পাকিস্তানকে ভালোবাসি, মোদীকেও সম্মান করি।”

রাজনৈতিক মহলে ট্রাম্পের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, এটি তাঁর নির্বাচনী প্রচারের ছক। কেউ কেউ মনে করছেন, আমেরিকার কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পাকিস্তানকে ফের গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল হতে পারে এটি। তবে কটাক্ষও কম হচ্ছে না—“শান্তির পুরস্কার চাই? একটা লাঞ্চই যথেষ্ট।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এমন উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার বার্তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু ব্যক্তিগত সৌজন্য নয়, বরং এক নতুন কূটনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত। ট্রাম্প আপাতত হোয়াইট হাউজে নেই ঠিকই, কিন্তু তাঁর রাজনীতির ধরন আর কৌশল বলছে—শিরোনামে থাকার পথ তিনিই ভালো বোঝেন। আর সেই পথেই এবার নোবেল শান্তির ‘ডিশ’-এ চুমুক দিলেন আসিম মুনির।

Share this Article
Leave a comment