সিতারে জমিন পর বক্স অফিস কালেকশন : বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি এখনও বক্স অফিসের রাজা। ২১ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিতারে জমিন পর’ ইতিমধ্যেই দশ দিনের মাথায় ঘরোয়া বাজারে ১২২.৬৫ কোটি টাকার সংগ্রহ করে ফেলেছে। একটি আবেগপ্রবণ ও মজাদার গল্পকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে এই ছবি।
ছবির প্রথম দিনের আয় ছিল ১০.৭ কোটি টাকা, দ্বিতীয় দিনেই তা পৌঁছে যায় ২০.২ কোটিতে। তৃতীয় দিনে ছবিটি চমকপ্রদভাবে ২৭.২৫ কোটি টাকা আয় করে, যা স্পষ্ট করে দেয় যে দর্শকদের মধ্যে ছবিটি নিয়ে আগ্রহ কতটা প্রবল। এরপরেও আয় ছিল স্থির এবং ধারাবাহিক—দিন ৪ ও ৫-এ আয় হয় ৮.৫ কোটি করে, ষষ্ঠ দিন ৭.২৫ কোটি, সপ্তম দিন ৬.৫৫ কোটি এবং অষ্টম দিন ৬.৬৫ কোটি টাকা।
নবম দিনে ছবিটি নতুন উদ্যমে গতি পায়, আয় হয় ১২.৬ কোটি টাকা। আর দশম দিন অর্থাৎ রবিবার, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে, কাজলের ‘মা’ এবং বিশালের ‘কান্নাপ্পা’র সঙ্গে রীতিমতো টক্কর দিয়ে ছবিটি আয় করেছে ১৪.৫০ কোটি টাকা (প্রাথমিক হিসেব)। অর্থাৎ, ‘সিতারে জমিন পর’ শুধুমাত্র শুরুতেই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদেও নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।
ছবিটিতে আমির খানের পাশাপাশি জেনেলিয়া ডি’সুজা ও একঝাঁক তরুণ অভিনেতার অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে। গল্পটি যেমন একদিকে হাস্যরসের মোড়কে সাজানো, তেমনি রয়েছে আবেগের গভীর ছোঁয়া। পরিবারের সঙ্গে দেখা উপযোগী এই সিনেমা অনেক দর্শকের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।
চলতি সপ্তাহেও যদি ছবির গতি এমনই বজায় থাকে, তাহলে ১৫০ কোটির ক্লাব একেবারেই দূরে নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পজিটিভ ওয়ার্ড অফ মাউথ এবং দর্শকদের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া ছবিটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমির খান আবারও প্রমাণ করলেন, কন্টেন্টই কিং, আর তার সঙ্গে যদি থাকে নিখুঁত অভিনয়—তাহলে সাফল্য শুধু সময়ের অপেক্ষা।