শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নাতে বিজেপির ‘কন্যা সম্মান যাত্রা’র মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে উঠে এল একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য। চেনা ভঙ্গিতেই তিনি তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন। তবে এদিন তাঁর কণ্ঠে ছিল আরও বেশি রাগ, হতাশা আর আগুনে ভাষা।
সভায় শুভেন্দু স্পষ্ট করে বললেন, “রাজ্যে যদি বিজেপি সরকার আসে, ধর্ষকদের আর আদালত অবধি যাওয়ার দরকার হবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচার হয়ে যাবে — ঠিক যেভাবে হয় উত্তরপ্রদেশ বা অসমে।” এই মন্তব্যে উপস্থিত জনতার মধ্যে গুঞ্জন উঠলেও, শুভেন্দু থামেননি। তাঁর কথায়, “মা-বোনেদের সুরক্ষা দিতে হলে, হিন্দু সমাজকে বাঁচাতে হলে, কৃষক-যুবকের পাশে দাঁড়াতে হলে বিজেপিকেই আনতে হবে। তৃণমূল কিছুই দিতে পারেনি — শুধু লুঠ, দুর্নীতি আর ভয়।”
এরপর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু বলেন, “মমতা হিন্দু হতে পারে না। হাওড়ার পুলিশ সুপার রথের রশি জুতো পরে টানলেন, আর উনি কিছু বললেন না? যদি এটা অন্য কোনো ধর্মের উৎসবে হতো, তাহলে তাণ্ডব শুরু হয়ে যেত।” এই বক্তব্যে অনেকেই চমকে যান, কারণ মমতার ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য বিরল।
তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দুর মন্তব্য, “তৃণমূল মানেই চোর, লুঠেরা, জেহাদি আর ধর্ষকদের পার্টি। এই দল বাংলার কিচ্ছু ভালো করেনি। আপনারা যদি সত্যিই আপনার মেয়েকে, আপনার কন্যারত্নকে রক্ষা করতে চান, তাহলে এখনই তৃণমূলকে বিদায় দিন।”
সভা শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন, “শুভেন্দুবাবু খুব কঠিন কথা বললেন, কিন্তু মেয়ে-বউদের কথা বলছেন তো, সেটাই তো দরকার এখন।” তবে কেউ কেউ আবার মনে করছেন, ধর্ম আর হুমকির সুর ব্যবহার করে রাজনীতি করা ঠিক নয়।
এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে রাজনৈতিক মহলের মতে এই ভাষণ নিয়ে বিতর্ক হবেই। রাজ্য রাজনীতি একেবারে গরম হতে চলেছে — তা বলাই যায়। সময় বলবে, এই বক্তব্য কতটা প্রভাব ফেলল বাংলার ভোটারদের মনে।