চ্যাটজিপ্ট মানব বোবা করে তোলেচিত্র ক্রেডিট উত্স: ফ্রিপিক
প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে আধুনিকতার এই যুগে কাজটি সহজ করে তুলেছে এবং যেহেতু এআই এসেছে, এখন ঘন্টাগুলির কঠোর পরিশ্রমও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। চ্যাটজিপিটি -র মতো এআই সরঞ্জামগুলির উপর মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে, তবে আপনি কি জানেন যে এই এআই সরঞ্জামগুলি আপনাকে কীভাবে ক্ষতি করছে? সম্প্রতি, একটি সমীক্ষায় চ্যাট জিপিটি সম্পর্কে একটি মর্মস্পর্শী উদ্ঘাটন প্রকাশিত হয়েছে যে এই এআই সরঞ্জামটি শিক্ষার্থীদের বোকা বানাচ্ছে বা আপনি এআইয়ের আগমনের পরেও বলতে পারেন যে শিশুরা মস্তিষ্ককে কম ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
জনগণের মস্তিষ্কের প্রভাব সম্পর্কে বিশেষত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমআইটির মিডিয়া ল্যাব দ্বারা পরিচালিত একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে শিক্ষাগত কাজ এবং শিক্ষার জন্য চ্যাট জিপিটি -র মতো জেনারেটর এআই সরঞ্জামগুলির ব্যবহার আসলে সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তাভাবনাকে দুর্বল করার ক্ষমতা তৈরি করে।
শিক্ষার্থীরা গবেষণায় প্রকাশ করেছেন
এই অধ্যয়নের সময়, গবেষকরা বোস্টন অঞ্চলের 18 থেকে 39 বছর বয়সের মধ্যে 54 জন শিক্ষার্থীকে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করেছিলেন এবং তারপরে প্রতিটি গ্রুপের শিক্ষার্থীদের এআই সরঞ্জামের সাহায্যে প্রবন্ধটি লিখতে বলা হয়েছিল। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, গবেষকরা ইলেক্ট্রনসিসফেলোগ্রাফির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
ফলাফলগুলি উদ্বেগজনক ছিল কারণ যে শিক্ষার্থীরা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছিল তারা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ নিম্ন স্তরে উপস্থিত হয়েছিল, যা গবেষণায় এটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে চ্যাট জিপিটি এবং অন্যান্য এআই সরঞ্জামগুলি শিশুদের, বিশেষত শিশুদের মনের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে শিক্ষার্থীরা যারা তাদের মনকে কম ব্যবহার করে এবং প্রবন্ধ লেখার জন্য চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে। এই শিক্ষার্থীরা প্রবন্ধটি নিজেরাই লিখেনি, যার কারণে শিক্ষার্থীদের পক্ষে মনে রাখা কঠিন ছিল।
এদিকে, যে শিক্ষার্থীরা কোনও ডিজিটাল সরঞ্জামের সাহায্য ছাড়াই কাজ করেছিল তারা মস্তিষ্কের সর্বাধিক ক্রিয়াকলাপ দেখেছিল। এই জাতীয় শিক্ষার্থীদের কাজে সৃজনশীলতা এবং স্মৃতির একটি ভাল সমন্বয় ছিল, কারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মন ব্যবহার করে সৃজনশীলতা দেখায় এমন একটি প্রবন্ধ লিখেছিল, তারপরে বাচ্চাদের প্রবন্ধটি মনে রাখতে সমস্যা হয় না।