মেটিয়াবুরুজ গোষ্ঠী সংঘর্ষ সুকান্ত মজুমদার : বৃহস্পতিবার বিকেলে মেটিয়াবুরুজের রবীন্দ্র নগর থানা চত্বরে পরিস্থিতি হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সম্প্রতি সংঘর্ষে আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেখানে পৌঁছতেই তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ। অভিযোগ, তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয় এবং ‘চোর’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পালটা স্লোগান দেন সুকান্তবাবুও।
গত ১১ জুন রবীন্দ্র নগর থানা লাগোয়া অঞ্চলে একটি মন্দিরের সামনে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভাঙচুর হয় একের পর এক দোকান ও বাড়ি। অভিযোগ, হামলাকারীরা মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করে। এমনকি থানার কাছেই তুলসিমঞ্চ ভাঙার অভিযোগও উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের গাড়িতে চলে হামলা। ইটবৃষ্টিতে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও এক মহিলা হোমগার্ড। গুরুতর চোট পান ডিসি পোর্টও।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে এলাকা সফরে যান সুকান্তবাবু। কিন্তু তৃণমূলের প্রতিবাদে ঘিরে পড়ে তাঁর কনভয়। অভিযোগ, তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয়। তাঁর গাড়ির ওপর পড়ে ইটও, যার জেরে এক মহিলা বিজেপি কর্মী আহত হন। পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা স্পষ্ট যে রাজ্যে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর প্রকাশ্যে হামলা হচ্ছে। তৃণমূল জানে না কীভাবে গণতন্ত্রে বিরোধিতা করা যায়, তাই সন্ত্রাসকেই হাতিয়ার করেছে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। এক মুখপাত্র জানান, “মানুষ নিজেরা প্রতিবাদ করেছে। দল কোনওভাবেই এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।”
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গোটা এলাকা ঘিরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। তবে ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দেও। স্থানীয়দের প্রশ্ন, রাজনীতির ঝড়ে কবে শান্তি ফিরবে মেটিয়াবুরুজে?