ইউটার ইসকন মন্দিরে গুলি | যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরে হামলা | সম্পূর্ণ প্রতিবেদন

Sourav Mondal
2 Min Read

ইসকন মন্দিরে গুলি : যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা প্রদেশের স্প্যানিশ ফর্ক এলাকায় অবস্থিত ইসকনের শ্রী শ্রী রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে সম্প্রতি ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ও গভীর উদ্বেগজনক ঘটনা। গভীর রাতে এক বা একাধিক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী মন্দির লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালায়। ইসকনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তত ২০ থেকে ৩০টি রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। গুলির বেশ কয়েকটি মন্দিরের দেওয়ালে বিঁধে এবং কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে দেয়।

হামলার সময় মন্দিরের ভেতরে বহু ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। যদিও সৌভাগ্যবশত কোনো প্রাণহানি বা শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, কিন্তু আতঙ্কের পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে মন্দির চত্বরে। ইসকন জানিয়েছে, এই হামলার ফলে কয়েক হাজার ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যার মধ্যে জানালার কাচ, দেওয়াল এবং অন্যান্য স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি রয়েছে।

এই ঘটনার পরপরই ভারত সরকার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সান ফ্রান্সিস্কোতে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এই গুলিচালনার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে এবং মন্দির কর্তৃপক্ষ ও ভক্তদের প্রতি পূর্ণ সহানুভূতি ও সমর্থন প্রকাশ করছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় প্রশাসন যেন দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনে।

ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইউটার স্থানীয় পুলিশ, তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনাকে অনেকেই ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে দেখছেন। এর আগেও আমেরিকায় হিন্দু মন্দিরে খলিস্তানি বিক্ষোভকারীদের হামলা, দেয়ালে ভারতবিরোধী স্লোগান লেখা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এভাবে সশস্ত্র গুলিচালনার ঘটনা বিরল এবং অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।

এই ঘটনার জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার। ধর্মীয় স্থানে এমন সহিংসতা শুধু একটি সম্প্রদায়ের উপর আঘাত নয়, বরং গোটা মানবতার উপর হানাহানি বলে মনে করছেন অনেকে। এখন দেখার বিষয়, স্থানীয় প্রশাসন কতটা দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেয় এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

এই ঘটনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা ইসকন ভক্ত ও হিন্দু সম্প্রদায়ের একটাই দাবি—ধর্মীয় স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক এবং দোষীরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।

Share this Article
Leave a comment