চীনা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার ২

Sourav Mondal
2 Min Read
চীনা গুপ্তচরবৃত্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে

চীনা গুপ্তচরবৃত্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দুই চীনা নাগরিক। এফবিআই-এর দাবি, এই দুই ব্যক্তি চিনের গোয়েন্দা সংস্থা এমএসএস-এর (Ministry of State Security) হয়ে মার্কিন নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন। শুধু তাই নয়, তারা নাকি মার্কিন সেনাদের চিনের হয়ে কাজ করতে প্ররোচিত করার চেষ্টাও চালিয়েছেন।

মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ইউয়ান্সে চেন (৩৮) ও লিরেন ‘রায়ান’ লাই (৩৯)। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২১ সাল নাগাদ লাই যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসকারী চেনকে নিজের সম্পদ বা অ্যাসেট হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন। এরপর চেনের মাধ্যমে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য বা তাদের পরিচিতদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়। লাই এমনকি চেনকে বিদেশে গিয়ে এই বিষয়ে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানান এবং প্রয়োজন হলে ভ্রমণের খরচ বহনের প্রস্তাবও দেন।

এফবিআই-এর জমা দেওয়া হলফনামায় জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি লকারে তারা ১০ হাজার ডলার নগদ অর্থ রেখে যান, যা তথ্য সংগ্রহের বিনিময়ে অন্যান্যদের দেওয়ার জন্য ব্যবহার হতো। এরপর চেন নিয়মিতভাবে মার্কিন নৌবাহিনী সম্পর্কিত নানা তথ্য সংগ্রহ করে লাইকে পাঠাতে থাকেন। এমনকি নৌসেনাদের ব্যক্তিগত তথ্যও তার হাতে পৌঁছে যেত। একবার তিনি সান ডিয়েগো শহরে গিয়ে ‘ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন’ নামক একটি বিমানবাহী রণতরী ঘুরে দেখেন এবং নতুন নিয়োগ পাওয়া এক নৌসেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি বলেন, “এই ঘটনা আবারও দেখিয়ে দিল, চিন সরকার কীভাবে আমাদের সেনাবাহিনীতে অনুপ্রবেশ করে জাতীয় নিরাপত্তাকে ভেতর থেকে দুর্বল করতে চায়। এটি তাদের ধারাবাহিক ও সংগঠিত চেষ্টার অংশ।”

ঘটনার পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিনও। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই ঘটনার খুঁটিনাটি জানে না, তবে তারা বরাবরই ‘চিনা গুপ্তচরবৃত্তি’ সংক্রান্ত ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরোধিতা করে এসেছে। পাশাপাশি, তাদের নাগরিকদের বৈধ অধিকার রক্ষায় সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে বেজিং।

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও সামনে এলো আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুপ্তচরবৃত্তির বাস্তবতা ও তা থেকে উদ্ভূত নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-চিন সম্পর্কেও নতুন করে উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Share this Article
Leave a comment