বিহার নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের বড় সিদ্ধান্ত, ভোটার তালিকাগুলি ঘরে ঘরে যাচাই করা হবে

Sourav Mondal
3 Min Read

নির্বাচন কমিশন। (সিগন্যাল ফটো)

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের তালিকা সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও ত্রুটিহীন করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধন করার সময় ঘরে ঘরে নিবিড় যাচাইয়ের পরিকল্পনা করেছে। এই তথ্য রবিবার নির্বাচন কমিশনের সাথে সম্পর্কিত সূত্রগুলি দিয়েছিল।

সূত্র মতে, এই প্রক্রিয়াটির উদ্দেশ্য হ’ল ভোটার তালিকায় বা অপসারণে নাম অন্তর্ভুক্তিতে কোনও ধরণের ভুল বা অনিয়ম রোধ করা। কমিশন নিশ্চিত করতে চায় যে ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ আপডেট, যাচাই করা এবং ন্যায্য, যাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনগুলি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা যায়।

নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যখন অনেক রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সংস্থা ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষত কংগ্রেস পার্টি সহ বিরোধী দলগুলি কমিশনকে ভোটার তালিকায় ভর্তিয়া জনতা পার্টির (বিজেপি) উপকারের জন্য ডেটা ম্যানিপুলেট করার অভিযোগ করেছে।

কারচুপি ভোটার তালিকার অভিযোগ

তবে কর্তৃপক্ষ অভিযোগগুলি খারিজ করে বলেছে যে কমিশন একটি বিশদ প্রোটোকলের অধীনে কাজ করে, যেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবুও, কমিশনকে ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত বা অপসারণের জন্য সময়ে সময়ে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করা হয়, যা কর্তৃপক্ষ অনুশোচনা প্রকাশ করেছিল।

সূত্র জানিয়েছে যে কমিশনের প্রকল্পের অধীনে সংশোধনী প্রক্রিয়াতে, প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের শারীরিক যাচাইকরণ করা হবে। এই যাচাইকরণ কাজটি স্থানীয় নির্বাচনী কর্মী এবং বুথ স্তরের অফিসারদের (বিএলও) দ্বারা করা হবে। এই প্রক্রিয়াতে, এটি তদন্ত করা হবে যে ভোটার তালিকায় রেকর্ড করা প্রতিটি ব্যক্তি আসলে সেই ঠিকানায় বাস করে কিনা।

একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন যে, আমরা চাই ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ ত্রুটিহীন হোক। এই প্রক্রিয়াটিও আগেও করা হয়েছিল, তবে ২০০৪ সালে এই ধরনের নিবিড় ও কঠোর সংশোধনী সর্বশেষ করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে এই কাজটি সমস্ত পক্ষের সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা এবং অংশগ্রহণের সাথে করা হবে।

বিরোধী অভিযোগের বিবেচনায় নির্বাচন কমিশনের বড় পদক্ষেপ

এই প্রক্রিয়াটি একদিকে ভোটার তালিকায় বোগাসের নাম অপসারণে সহায়তা করবে, অন্যদিকে, প্রকৃত ভোটারদের থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।

রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়, কারণ এই পদক্ষেপটি বিরোধী দলগুলির ঘন ঘন অভিযোগের মধ্যে কমিশনের ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতা জোরদার বলে মনে করা হয়।

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ২০২৫ সালে এবং এর আগে কমিশনের এই প্রস্তুতিটিকে ইতিবাচক চিহ্ন হিসাবে দেখা হচ্ছে। এটি কমিশনের প্রচেষ্টা যে এবার ভোটদান প্রক্রিয়াটি কোনও বিরোধ বা সন্দেহ থেকে মুক্ত হওয়া উচিত এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী হওয়া উচিত।

Share this Article
Leave a comment