আর জি কর দুর্নীতি মামলা : চলতি মাসের ৩০ জুন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতি মামলায় নতুন মোড় আসতে চলেছে। ওই দিন আলিপুরের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, হাউস স্টাফ আশিস পাণ্ডে, ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহ, সহ আবসর আলিকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছরের আগস্টে এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য। সেই ঘটনায় যখন গোটা বাংলা ক্ষোভে ফুঁসছিল, ঠিক তখনই প্রকাশ্যে আসে আর জি কর কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চলা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। তদন্তে নেমে পুলিশ এবং অন্যান্য এজেন্সি একাধিক অসঙ্গতির হদিস পায়। সন্দীপ ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পান।
বর্তমানে দ্বিতীয় দফার তদন্ত চলছে। এই প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন, “যখন তদন্ত এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, তখন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে কীভাবে?” তাঁদের যুক্তি, তদন্ত শেষ না হলে চার্জ গঠন করা উচিত নয়। আদালত যদিও জানিয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের তদন্ত শেষ করতে হবে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তবে ৩০ জুন অভিযুক্তদের উপস্থিতি আবশ্যিক এবং চার্জ গঠনের সম্ভাবনা থাকছেই।
তদন্তকারী সংস্থা এখনও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে ব্যস্ত। ঠিকাদারি চুক্তি, আর্থিক লেনদেন ও অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক দুর্নীতির নানাদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলেই মামলার বিচারপর্ব শুরু হবে, আর তার প্রথম ধাপ হতে চলেছে এই চার্জগঠন। ফলে ৩০ জুন আদালতে কী হয়, সেটাই নির্ধারণ করবে এই বহুল আলোচিত মামলার ভবিষ্যৎ গতিপথ।
এই মামলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসক মহলের একাংশের মতে, “এই দুর্নীতির প্রভাব শুধু টাকাপয়সা নয়, এটা পরিষেবা এবং বিশ্বাসেরও ক্ষতি করেছে।” এখন শুধু অপেক্ষা, ৩০ জুন আদালতের কী সিদ্ধান্ত আসে।