উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৭ জনের, মর্মান্তিক শোকপ্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Sourav Mondal
2 Min Read
উত্তরাখণ্ড হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা

উত্তরাখণ্ড হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা : আজ, রবিবার ভোরবেলা উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ থেকে রওনা হওয়া একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে গৌরীকুণ্ডের কাছে, গভীর জঙ্গলের মধ্যে হঠাৎই ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। সেই সময় হেলিকপ্টারে পাইলট-সহ মোট ৭ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ছিল এক শিশুও। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল, তবে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সকলেই প্রাণ হারিয়েছেন।

ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে কেদারনাথ হেলিপ্যাড থেকে উড়ে যায় কপ্টারটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। রুদ্রপ্রয়াগের আকাশে ওড়ার সময় হেলিকপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে মনে করা হচ্ছে। জরুরি অবতরণের চেষ্টা করলেও, তা সফল হয়নি। ভেঙে পড়ে গভীর অরণ্যের মধ্যে। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই যে হেলিকপ্টারের ধ্বংসস্তূপ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ধারকারীদের কাজও তাই অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে।

এই ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে মহারাষ্ট্রের একই পরিবারের তিনজন ছিলেন। একটি তীর্থযাত্রা যে এভাবে জীবনের অন্তিম যাত্রা হয়ে উঠবে, তা কেউ ভাবতেও পারেননি।

দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আবার একটি অসামরিক বিমান দুর্ঘটনা আজ সকালে। এবার উত্তরাখণ্ডে। কেদারনাথ-গৌরীকুন্ড গুপ্তকাশী এলাকায়। পাইলট ও শিশু সহ ৭ জন ছিলেন হেলিকপ্টারে। উদ্ধারকাজ কী হয় সেদিকে অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। যাঁরা ছিলেন ওই হেলিকপ্টারে তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি।”

প্রশাসনের ভূমিকা ও হেলিকপ্টার সংস্থার দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আবহাওয়া অনুকূল না থাকা সত্ত্বেও কেন ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল? যাত্রীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে কি যথাযথ সাবধানতা নেওয়া হয়েছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর চেয়ে উঠেছে জনমত।

একটি ছোট্ট শিশু, একেবারে নির্দোষ এক প্রাণ—এভাবে চলে যাওয়া কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পাহাড়ের পবিত্র যাত্রাপথে এমন মর্মান্তিক পরিণতি যেন আর না ঘটে। এই ভয়াবহ ঘটনার শিকার প্রতিটি পরিবারের প্রতি রইল অকৃত্রিম সমবেদনা ও প্রার্থনা।

Share this Article
Leave a comment