শ্বেতা খান গ্রেফতার : অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সোদপুর পর্নকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসি। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর হাওড়া সিটি পুলিশের বিশেষ টিম তাকে কলকাতার আলিপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। অভিযানে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রের খবর, শ্বেতা আলিপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল এবং সেখান থেকেই পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছিল। তবে তার আগেই পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান জেনে সেখানে পৌঁছে যায়। ধরা পড়ার আগে সে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, বারবার মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করছিল এবং গোপনে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।
সোদপুরের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল, এক তরুণীকে জোর করে পর্ন ভিডিও করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় শ্বেতা খান এবং তার ছেলে-মেয়ের নাম জড়ায়। প্রথমেই পুলিশ তার দুই সন্তানকে আটক করে এবং শ্বেতার খোঁজে অভিযান শুরু হয়।
শ্বেতার বিরুদ্ধে শুধু পর্ন ভিডিও তৈরির জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগই নয়, অভিযোগ রয়েছে তরুণীর উপর মানসিক ও শারীরিক নিপীড়নেরও। পুলিশ মনে করছে, শ্বেতা গ্রেফতার হওয়ার সময়ও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
এখন তাকে ছেলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম এই চক্রে জড়িয়ে থাকতে পারে।
ফুলটুসির গ্রেফতার নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য, তবে এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আরও তদন্ত চালিয়ে যাবে পুলিশ। শহরের মধ্যে এভাবে পর্নচক্র গড়ে ওঠা এবং তরুণীদের ফাঁদে ফেলার ঘটনা সমাজের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে।