পাকিস্তান তালেবানদের সাথে লড়াই করতে সক্ষম নয়, কেন ভিলেন আমেরিকা তৈরি করছেন?

বিলওয়াল ভুট্টোর একটি বিবৃতি তালেবানদের সাথে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সভাপতি এবং প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি আজকাল আমেরিকা সফরে রয়েছেন। এই সময়ে, তিনি ওয়াশিংটনে একটি বিবৃতি দিয়ে কূটনৈতিক আন্দোলনকে তীব্র করেছেন। এবার তিনি আবার একই পুরানো রাগ শুরু করেছিলেন – তালেবানদের শক্তি, আমেরিকা এবং পাকিস্তানের অসহায়ত্বের দোষ।

ওয়াশিংটনে তাঁর বক্তব্য কেবল পাক-আফগান সম্পর্ককেই আবার উত্থাপন করে না, তবে পাকিস্তানের দায়িত্ব নিয়েও অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। বিলওয়াল সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঘিরে রেখেছিলেন এবং বলেছিলেন যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রত্যাবর্তন গণ্ডগোল হয়ে গেছে। তিনি দাবি করেছিলেন যে আমেরিকা যে অস্ত্রগুলি পেছনে ফেলে রেখেছিল, এখন সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসীদের হাতে এসেছে এবং পাকিস্তানের পুলিশ ও সুরক্ষা সংস্থাগুলি তাদের মুখোমুখি হতে হবে।

তালেবান দোষ দিয়েছেন, তবে তার ভুলের উপর নীরবতা

বিলওয়াল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পক্ষে ছিলেন এবং বলেছিলেন যে এখন সময় এসেছে যে প্রত্যেকেরই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু পাকিস্তান কীভাবে বছরের পর বছর ধরে চরমপন্থী সংগঠনগুলিকে অপ্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়েছিল এই প্রশ্নের উত্তর তিনি করেননি। এটি একই সমস্যা যার ভিত্তিতে পাকিস্তান বারবার বৈশ্বিক ফোরাম দ্বারা ঘিরে রয়েছে।

আফগান বিশ্লেষকের তীব্র প্রতিক্রিয়া

আফগান রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ জালমাই আফগান ইয়ার পাকিস্তানের ভাষা ও প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তান এই অঞ্চলের বাকী দেশগুলিকে হুমকি দিচ্ছে। আফগান সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর তার নীতিমালা নিবদ্ধ করেছে, পাকিস্তান কি একই বার্তা দিতে পারে? আমেরিকার সহযোগিতায় আফগানিস্তানের জন্য নতুন অসুবিধা তৈরি করতে পাকিস্তান কি দৃ determined ়প্রতিজ্ঞ হতে পারে?”

পুনর্মিলন প্রচেষ্টায় আবার জল?

সম্প্রতি, দু’দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করেছিল, যখন তারা চার্জ ডি -অ্যাফেয়ার্সের জায়গায় একজন পূর্ণ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছিল। তবে বিলওয়ালের সর্বশেষ বিবৃতিটি আবারও ইঙ্গিত দিয়েছে যে সম্পর্কের এই নতুন শুরুটি বেশি দিন হবে না। বর্তমানে তালেবান সরকারের কাছ থেকে কোনও সরকারী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, তবে অতীতে তিনি স্পষ্টভাবে পাকিস্তানকে বলেছিলেন যে এই ধরনের বিবৃতি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিষ দ্রবীভূত করতে পারে।