জি-৭ সম্মেলন ২০২৫ : কানাডায় নেতৃত্ব বদলের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণে দেখা দিচ্ছে নতুন গতি। সম্প্রতি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মার্ক কার্নি। দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানান জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। সেই ফোনালাপই হয়ে উঠল দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাব্য নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
জি-৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ১৫ থেকে ১৭ জুন, কানাডার কানানাস্কিতে। মোদি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং তিনি এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী সপ্তাহে কানাডা যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। সম্মেলনের ফাঁকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলাদা করে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।”
গত কিছু মাস ধরে ভারত ও কানাডার সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, বিশেষ করে খলিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপ ঘিরে। সেই প্রেক্ষাপটে মার্ক কার্নির এই কূটনৈতিক উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে কী কী বিষয় উঠে আসতে পারে, সে বিষয়ে রণধীর জয়সওয়াল জানান, “নানা আন্তর্জাতিক ইস্যু ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থা বাড়ানো এবং সাম্প্রতিক নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ—এই সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।”
এই বৈঠক আদৌ কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা সময়ই বলবে। তবে যেভাবে নতুন নেতৃত্ব আসার পরেই দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছে কানাডা, তাতে আপাতত কূটনৈতিক মহলে আশার আলোই জ্বলছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে জট তৈরি হয়েছিল, তা যদি এবার কূটনৈতিক সদিচ্ছায় খুলে যায়, তাহলে মোদি-কার্নি বৈঠক হতে পারে এক নতুন যুগের সূচনা।