ইউরোপে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা আতঙ্কের কারণ হবে! ব্রিটেনের আবহাওয়াও হিটওয়েভের কবলে রয়েছে

Asish Roy
2 Min Read

ইউরোপ একটি মারাত্মক হিটওয়েভের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন যে আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণ ইউরোপের কিছু অংশের তাপমাত্রা 45 ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে। এই হঠাৎ ক্রমবর্ধমান তাপটি কেবল ইউরোপীয় দেশগুলিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না, তবে এর প্রভাব যুক্তরাজ্যের মরসুমেও স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

স্পেন এবং পর্তুগালের মতো দেশগুলিতে দ্রুত তাপ অনুভূত হচ্ছে। কিছু অঞ্চলে, তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংস্থা নাটউইডারের মতে, পরের সপ্তাহে এটি তাপ হবে এবং তাপমাত্রা 45 ডিগ্রি স্পর্শ করতে পারে। এই গরম বাতাস স্পেন থেকে উত্তরে এবং ব্রিটেনের দিকে ঘুরছে।

প্রভাবটি ব্রিটেনে উপস্থিত হতে শুরু করে

ব্রিটেনেও এর প্রভাব ধীরে ধীরে প্রদর্শিত হতে শুরু করবে। আবহাওয়ার মানচিত্র অনুসারে, পরের সপ্তাহের শেষের দিকে ব্রিটেনের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। জিএফএস মডেল অনুসারে, শনিবার ইংল্যান্ডের দক্ষিণ -পূর্বাঞ্চলে তাপমাত্রা 30 ডিগ্রির উপরে যেতে পারে, যখন লন্ডন এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে এটি 32 ডিগ্রি পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে

যদিও দেশের বাকি অংশগুলিতে এত বেশি তাপ থাকবে না, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে। ম্যানচেস্টার, লিভারপুল এবং গ্লাসগোয়ের মতো শহরগুলিতে তাপমাত্রা 24 থেকে 26 ডিগ্রির মধ্যে হতে পারে। একই সময়ে, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে শীতল থাকবে, তবে গ্রীষ্মের তরঙ্গটি সেখানেও হালকা প্রভাব ফেলবে।

কেন এই হিটওয়েভ বিপজ্জনক?

বিশেষজ্ঞরা তাপের এই ক্রমবর্ধমান প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। স্বাস্থ্যের উপর প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে লোকদের রোদে বের হওয়া এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই তাপমাত্রা প্রবীণ, শিশু এবং ইতিমধ্যে অসুস্থ লোকদের জন্য বিপজ্জনক হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা এবং শীতল জায়গায় থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।

এই পরিস্থিতি কেন ঘটছে?

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ জাতীয় ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। ইউরোপের মতো অঞ্চলগুলিতে, যেখানে সাধারণত এত শক্তিশালী তাপ থাকে, তাপমাত্রা এখন 45 ডিগ্রি পৌঁছানোর জন্য উদ্বেগের বিষয়। এটি আসন্ন সময়ে পরিবেশগত জরুরি পরিস্থিতির একটি সতর্কতা হিসাবেও বিবেচিত হয়। ইউরোপীয় দেশ এবং ব্রিটেন এই চ্যালেঞ্জটি কীভাবে মোকাবেলা করে তা এখনও দেখা যায়।

Share this Article
Leave a comment