ভারতের অবস্থান ইজরায়েল ইরান সংঘাত : ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে জানাল বিদেশ মন্ত্রক। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান ১৩ জুনই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল এবং সেই অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত। ভারত বলেছে, এই ধরনের সংকট মোকাবিলায় সংলাপ ও কূটনৈতিক পথই অনুসরণ করা উচিত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও উচিত উত্তেজনা প্রশমনে এগিয়ে আসা।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর একটি সাম্প্রতিক বিবৃতিতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছিল। ইরানে চালানো ইজরায়েলি বিমান হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রসংঘ সনদের লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দিয়ে জানানো হয়, এতে অসামরিক এবং পরমাণু স্থাপনাগুলোর ক্ষতি হয়েছে ও সাধারণ নাগরিক হতাহত হয়েছেন। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসসিও-র এই বিবৃতির আলোচনায় তারা অংশ নেয়নি, কারণ ভারতের নিজস্ব অবস্থান আগে থেকেই সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই বিষয়ে ইজরায়েল ও ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেছেন। দুই দেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। জয়শঙ্কর বলেছেন, এখনই এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে না; বরং যত দ্রুত সম্ভব কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে যাওয়া জরুরি।
এদিকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ফোনালাপে মোদী জানিয়েছেন, তিনি পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগ নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন। তিনি এই অঞ্চলে দ্রুত শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
ভারত যে এই সংকটপূর্ণ মুহূর্তে যুদ্ধের বদলে শান্তির বার্তা দিতে চাইছে, তা বারবারই স্পষ্ট করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারসাম্য রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিচ্ছে দিল্লি। ইরান ও ইজরায়েল—উভয়ের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে ভারতের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক স্তরে কূটনৈতিক ভারসাম্যের এক উদাহরণ হয়ে উঠছে।