ঘৃণ্য বক্তৃতা মামলায় বিচারপতি যাদবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে! রাজ্যা সভা একটি কমিটি স্থাপন করতে পারেন

রাজ্যা সভা বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারেন

রাজ্যা সভা এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের বিরুদ্ধে অভিশংসনের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারেন। বলা হচ্ছে যে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রাজ্যসভের চেয়ারম্যান জগদীপ ধরণ নোটিশের উপর পদক্ষেপ নেওয়ার সময়, বিচারপতি কর্তৃক প্রদত্ত অভিযুক্ত ঘৃণ্য বক্তৃতার তদন্তের জন্য কেউ তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারেন। গত বছরের ডিসেম্বরে একটি ভিএইচপি প্রোগ্রামে অভিযুক্ত ঘৃণ্য বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সংবাদপত্রটি তার খবরে দাবি করেছে যে এই স্বাক্ষরগুলি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াটি ছয় মাস পরে চলছে, বিরোধী সাংসদরা বিচারের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনার জন্য ৫৫ জন সংসদ সদস্যকে ধাঁড়কে স্বাক্ষর করার পরে। বিচারকদের তদন্ত আইন অনুসারে, রাজ্যা সভায় কমপক্ষে ৫০ জন এমপি বা লোকসভায় কমপক্ষে ১০০ জন এমপিএসকে বিচারকের উপর অভিশংসনের কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তাবটিতে স্বাক্ষর করতে হবে।

ভুল বোঝাবুঝির কারণে স্বাক্ষরের সদৃশটি করা হয়েছিল

২১ শে মার্চ, রাজ্যা সভায় ধনকর বলেছিলেন যে তাদের স্বাক্ষর যাচাই করার জন্য এমপিদের কাছে ২ টি মেল প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন এমন ৫৫ জন সংসদ সদস্যের এক সদস্যের স্বাক্ষর ২ টি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সদস্যও এটিকে তার স্বাক্ষর হিসাবে বিবেচনা করতে অস্বীকার করেছেন। এখন আমি এই কাজে যোগ দিতে চাই না, যা উচ্চ স্তরে নিতে পারে। তবে এমপিএসের সংখ্যা যদি 50 এরও বেশি হয় তবে” বেশিরভাগ এমপিএস একই সাথে গ্রহণ করবে।

বিরোধীদের সাথে যুক্ত সূত্রগুলি ইংরেজ সংবাদপত্রকে বলেছিল যে সদৃশ কাগজে স্বাক্ষর করার সময় কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে স্বাক্ষরটি ছিল। 3 সেট স্মারকলিপি কাগজ জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। সূত্র জানিয়েছে যে কোনও স্বাক্ষর অবৈধ ঘোষণা করা হলেও, অভিশংসনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক লক্ষণ স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

বিরোধীরা ক্রমাগত কর্মের চাপে থাকে

বিরোধীরা বিচারপতি যাদবের বিতর্কিত বক্তৃতার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্যা সভাকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন। গত বছরের ৮ ই ডিসেম্বর বিশওয়া হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এর কর্মসূচিতে বক্তব্য রেখে বিচারপতি যাদব বলেছিলেন, “এটি ভারত বলে এই বলে আমার কোনও দ্বিধা নেই। এবং এই দেশটি ভারতে বসবাসরত সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুযায়ী চলবে।”

তারপরে ইউনিফর্ম সিভিল কোডকে সমর্থন করা, বিচারপতি যাদব, মুসলিম সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, “আপনি ভুল বোঝাবুঝি করছেন যে যদি কোনও আইন (ইউসিসি) আনা হয় তবে তা আপনার শরিয়া, আপনার ইসলাম এবং কুরআনের বিরুদ্ধে হবে তবে আমি আরও একটি কথা বলতে চাই। কুরআন, বা আমাদের কুরআন, বা আমাদের কুরআন, বা আমাদের কুরআন, বা আমাদের কুরআন, আমি আমাদের অভ্যাসগুলিতে উপস্থিত কুফলকে সম্বোধন করেছি। “

তিনি বলেছিলেন যে অস্পৃশ্যতা, সতী, জোহর এবং মহিলা ভ্রূণকে সম্বোধন করা হয়েছে। “তাহলে আপনি কেন এটি শেষ করছেন না। যখন আপনার প্রথম স্ত্রী থাকে, আপনি 3 স্ত্রী রাখতে পারেন That এটিও তাদের সম্মতি ছাড়াই … তবে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।” ১৩ ই ডিসেম্বর, রাজ্যা সভায় বিরোধী সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল বিচারপতি যাদবকে ঘৃণ্য বক্তৃতার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের দাবিতে একটি নোটিশ উপস্থাপন করেছিলেন।

তারিখ ছাড়াই বিজ্ঞপ্তি: চেয়ারম্যান ধনকর

১৩ ই ফেব্রুয়ারি হাউসকে সম্বোধন করে হাউসের চেয়ারম্যান ধাঁখার বলেছিলেন যে সংবিধানের ১২৪ (৩) অনুচ্ছেদে বিচারপতি যাদবকে অপসারণের প্রস্তাবের জন্য তিনি কোনও তারিখ ছাড়াই নোটিশ পেয়েছেন।

আরও জানা গেছে যে জগদীপ ধাঁখার গণমাধ্যমের খবর উদ্ধৃত করে বলেছিলেন যে সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনার বিষয়ে জ্ঞান নিয়েছে এবং এলাহাবাদ হাইকোর্ট অরুণ ভনসালির প্রধান বিচারপতি থেকে একটি প্রতিবেদন চেয়েছিল। সূত্র জানিয়েছে যে রাজ্যা সভা সাধারণ সম্পাদক পিসি মোদী সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন যে সংসদ ইতিমধ্যে বিষয়টি বিবেচনা করছে যেহেতু অভিশংসনের নোটিশ মুলতুবি রয়েছে। তবে আরও জানা গেছে যে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় আরও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।