এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা : টাটার পরিচালনাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়েছে আমদাবাদে। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর। আগুন ধরে যায় গোটা বিমানে। মুহূর্তেই চারদিকে ধোঁয়ার কুন্ডলি, চিৎকার আর মৃত্যুর বিভীষিকা। অনেক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। তাঁদের মধ্যে বহু বিদেশিও ছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকট শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখেন চারদিকে ধ্বংসস্তুপ আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহ। এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে চোখে জল এসে যায় প্রত্যেকের।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গোটা দেশ স্তব্ধ। এই কঠিন সময়ে টাটা গ্রুপের মানবিক বার্তা ও সহানুভূতিমূলক পদক্ষেপ ছুঁয়ে গেল কোটি কোটি মানুষের হৃদয়। এক্স-এ প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন লেখেন, “এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১-এর দুর্ঘটনায় আমরা শোকাহত। এই দুঃখের ভাষা নেই। আমরা মৃতদের পরিবারের পাশে রয়েছি। আহতদের জন্য প্রার্থনা করছি।”
টাটা গ্রুপ ঘোষণা করেছে, দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবে সংস্থাটি। শুধু তাই নয়, যে মেডিক্যাল হস্টেলের উপর বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, সেই হস্টেল পুনর্গঠনের কাজেও সাহায্য করবে টাটা গোষ্ঠী।
এক প্রত্যক্ষদর্শী পিটিআইকে জানান, “আমি বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি আকাশে কালো ধোঁয়া। সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখি, চারপাশে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। যেদিকে তাকাই শুধু ধ্বংস আর কান্না।”
পাইলট শেষ মুহূর্তে ‘মে ডে’ কল করলেও, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকারী দল ও দমকল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলে। একে একে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়। কিছু পরিবার চিরতরে হারাল তাদের প্রিয়জনকে। তবে ভাগ্যের জোরে এক যাত্রী বেঁচে গিয়েছেন, যাঁর গল্প এখন আলো ছড়াচ্ছে নিঃসীম অন্ধকারের মধ্যে।
টাটা গোষ্ঠীর এই মানবিক পদক্ষেপ প্রমাণ করে দিল—শুধু ব্যবসা নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাদের মূলনীতি। এই সময় আমরা সবাই একসঙ্গে প্রার্থনা করি, এমন ট্র্যাজেডি আর যেন কোনওদিন না ঘটে।