ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামিয়েছি

Sourav Mondal
3 Min Read
ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ

ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ : ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও সামনে আনলেন পুরনো এক দাবি— তিনিই নাকি থামিয়েছিলেন ভারতপাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য ভয়াবহ যুদ্ধ। এই মন্তব্য তিনি করলেন হোয়াইট হাউজে এক সাম্প্রতিক আলোচনায়, যেখানে তাঁর কণ্ঠে ছিল স্পষ্ট হতাশা। অভিযোগ, এমন গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনায় তাঁর ভূমিকাকে গুরুত্ব দেয়নি মার্কিন সংবাদমাধ্যম।

“আমি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটা যুদ্ধ থামিয়েছি,” বললেন ট্রাম্প। “কিন্তু কেউ সে ভাবে লেখে না। আমি এমন কোনও খবর দেখিনি। আমার মনে হয়, এটা একটা দারুণ ব্যাপার ছিল। ওরা একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা করছিল, এবং ওই যুদ্ধের পরিণতি পরমাণু অস্ত্র পর্যন্ত পৌঁছতে পারত।”

ট্রাম্পের দাবি, সেই সময় তিনি সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্য নিয়েও। তবে মূল বার্তা ছিল খুব স্পষ্ট— “যদি তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাও, তাহলে আমেরিকা তোমাদের সঙ্গে আর কোনও বাণিজ্য করবে না।”

তাঁর কথায়, দুই দেশের নেতারাই তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেন। “তাঁরা অবিশ্বাস্য ছিলেন,” বলেন ট্রাম্প। “তাঁরা বুঝেছিলেন আমি কী বলতে চাইছি। তারপরই তারা সংঘর্ষ থামায়।”

তিনি জানান, “আমি ফোন আর বাণিজ্যের মাধ্যমেই সেই যুদ্ধ থামিয়েছি। এখন ভারত আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা করতে এসেছে। পাকিস্তানও খুব শিগগিরি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। দু’টো দেশেই বিপুল সংখ্যায় পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। সেটা খুবই ভয়ংকর। তাই সেই সংঘর্ষ বন্ধ করা একটা বড় ব্যাপার ছিল।”

শেষে তিনি আরও বলেন, “এই কাজের জন্য শুধু আমায় নয়, গোটা রিপাবলিকান পার্টিকেই কৃতিত্ব দেওয়া উচিত।”

এই বক্তব্যে অনেকেই আবার ট্রাম্পের অতীতের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি শুনছেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান মধ্যস্থতায় তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। তবে এবার তাঁর অভিমান মূলত সংবাদমাধ্যমকে ঘিরে— তাঁরা কেন এ নিয়ে তেমন কিছু লেখেনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক সবসময়ই জটিল এবং সংবেদনশীল। সেখানে ট্রাম্পের এই একপাক্ষিক ‘নায়কোচিত’ ভূমিকায় কিছুটা রাজনৈতিক স্বার্থও থাকতে পারে। তবুও, ট্রাম্পের বক্তব্য ফের মনে করিয়ে দেয় সেই উত্তেজনার সময়টাকে— যখন ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা এবং বালাকোটের পর দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছিল, এবং যুদ্ধের আশঙ্কা বাস্তব মনে হচ্ছিল।

ট্রাম্প সত্যিই যদি সেই সংঘাত প্রশমনে বড় ভূমিকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তবে ঠিক কতটা সত্য, আর কতটা প্রচার— সেই বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে।

Share this Article
Leave a comment