দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম জিম্বাবোয়ে দ্বিতীয় টেস্ট ২০২৫ : দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ফের দেখা গেল প্রোটিয়া দাপট। দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবোয়েকে এক ইনিংস ও ২৩৬ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল তারা। ব্যাট হাতে ইতিহাস গড়লেন ভিয়ান মাল্ডার। ৩৩৪ বলে অপরাজিত ৩৬৭ রান করে শুধু ম্যাচ নয়, সিরিজের সেরার পুরস্কারও নিজের করে নিলেন তিনি। প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে ৬২৬ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করার মূল ভিত্তিই ছিলেন মাল্ডার। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪২টি বাউন্ডারি আর ৬টি ওভার বাউন্ডারি—শুধু রান নয়, শাসনও চালিয়েছেন তিনি।
উত্তরে ব্যাট করতে নেমে একেবারে ছন্নছাড়া জিম্বাবোয়ে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ফলো-অন পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা লড়াই করলেও ২২০ রানেই থেমে যায় জিম্বাবোয়ের ইনিংস। এই বিশাল ব্যবধানে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্ববৃহৎ জয় হয়ে রইল। এর আগে শুধু বাংলাদেশকে হারিয়েই তারা পেয়েছিল আরও বড় জয়—চট্টগ্রামে এক ইনিংস ও ২৭৩ রানে এবং ব্লুমফন্টেনে এক ইনিংস ও ২৫৪ রানে।
এই জয়ের সঙ্গে একটি নতুন রেকর্ডও যুক্ত হল প্রোটিয়াদের ঝুলিতে। ২০২৪ ও ২০২৫ মিলিয়ে টানা ১০টি টেস্ট ম্যাচ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট ইতিহাসে টানা জয়ে তারা উঠে এল তৃতীয় স্থানে। সবচেয়ে বেশি টেস্ট জয়ের রেকর্ড এখনও অস্ট্রেলিয়ার দখলে—তারা দুইবার ১৬টি করে টেস্ট টানা জিতেছিল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ১৯৮৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ, টানা ১১টি টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে তাদের।
তবে এত দারুণ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার ভাগ্যে কোনও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট জোটেনি। কারণ, জিম্বাবোয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে না। তাই সিরিজ জয় হলেও প্রোটিয়াদের পয়েন্ট তালিকায় কোনও পরিবর্তন হয়নি। এখনও পয়েন্ট পার্সেন্টেজ অনুযায়ী শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া (১০০), এরপর শ্রীলঙ্কা (৬৬.৬৭), ইংল্যান্ড ও ভারত (৫০ করে) এবং বাংলাদেশ (১৬.৬৭)।
এই সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য হয়তো বড় মঞ্চে সরাসরি কিছু বয়ে আনেনি, কিন্তু আত্মবিশ্বাস, ধারাবাহিকতা এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতির নিরিখে এ এক অমূল্য প্রাপ্তি। আর মাল্ডারের এই ইনিংস—তা নিঃসন্দেহে জায়গা করে নিল টেস্ট ইতিহাসের সোনার পাতায়।