ডিএ মামলা : আলোচনার সুযোগ নষ্ট করল রাজ্য সরকার?

Sourav Mondal
2 Min Read
ডিএ মামলা পশ্চিমবঙ্গ 2025

ডিএ মামলা পশ্চিমবঙ্গ 2025 : বছরের পর বছর ধরে ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকার এবং সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে চলতে থাকা টানাপোড়েন যেন কোনও গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টে মামলার চূড়ান্ত রায় এখনও ঝুলে রয়েছে, অথচ এই সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব ছিল—এমনটাই মনে করছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।

তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার যদি আগে থেকেই আলোচনায় বসত, তবে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মামলায় দামী দামী আইনজীবীদের নিয়োগ করার কোনও প্রয়োজনই হত না। বরং কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে বাস্তবসম্মত ও অর্থনৈতিক দিক থেকে যুক্তিসঙ্গত একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কর্মরতদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা এবং অবসরপ্রাপ্তদের জন্য বারোটি মাসিক কিস্তিতে বকেয়া পেনশন পরিশোধ—এটাই ছিল প্রধান প্রস্তাব। কিন্তু সরকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করে সুপ্রিম কোর্টে ব্যাখ্যা চেয়ে ফের আবেদন করে, যা কর্মীদের কাছে সময় নষ্টের কৌশল বলে মনে হচ্ছে।

মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, সরকারি কর্মীরা শুধু নিজেদের দাবি নিয়ে নয়, বরং রাজ্যের আর্থিক অবস্থার দিকেও নজর রাখেন। তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান। তবে রাজ্য সরকার সেই রাস্তা একেবারে বন্ধ করে দিয়ে একতরফা সিদ্ধান্তে আইনি পথে এগিয়েছে। এর ফলে কর্মচারীদের মধ্যে যেমন অসন্তোষ বাড়ছে, তেমনই সরকারের ওপর আর্থিক বোঝাও বাড়ছে।

ডিএ মামলার আইনি ইতিহাসও দীর্ঘ—২০১৬ সালে পঞ্চম বেতন কমিশনের ভিত্তিতে শুরু হওয়া এই মামলা স্যাট, কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে এখন সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে। হাইকোর্টে কর্মচারীরা জয় পেলেও এখনও সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় বাকি। কর্মীরা আজ প্রশ্ন তুলছেন—আলোচনার দরজা যদি আগে থেকেই খোলা থাকত, তবে এতটা সময়, টাকা এবং মানসিক চাপ হয়তো এড়ানো যেত।

সরকারের সদিচ্ছার অভাব এবং সিদ্ধান্তহীনতার বলি হয়ে উঠছে হাজার হাজার কর্মচারী। অথচ সমস্যার সমাধান হয়তো খুব কাছেই ছিল—শুধু প্রয়োজন ছিল কথা বলার ইচ্ছা।

Share this Article
Leave a comment