করোনা আপডেট ভারত ২০২৫ : দেশজুড়ে ফের বাড়ছে করোনার প্রকোপ। কয়েক মাস শান্ত থাকার পর আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে দেশে। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ছুঁইছুঁই, যা স্বাস্থ্য মহলে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বেড়েছে কর্নাটক, গুজরাট ও কেরলে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে মোট ৬ হাজার ৮১৫ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। কর্নাটকে একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৬ জন, গুজরাটে ১২৯ জন এবং কেরলে ৯৬ জন। অন্যদিকে, অরুণাচল প্রদেশ, চণ্ডীগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায় নতুন কোনও সংক্রমণের খবর নেই।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যদিও সংক্রমণ বাড়ছে, তবে এই মুহূর্তে ভাইরাসটির আগের মতো প্রাণঘাতী রূপ নেই। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব ভাল জানিয়েছেন, “দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা গিয়েছে, এটি ওমিক্রনের একটি ভ্যারিয়েন্ট। এখনই আতঙ্কের কিছু নেই, তবে সচেতন থাকতে হবে।”
তবে চিকিৎসা মহলের একটি অংশ আশঙ্কা করছে, পরিস্থিতি এভাবে চললে আবারও ফিরে আসতে পারে পুরনো কোভিড বিধি। বিশেষ করে জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। বয়স্ক এবং যাঁদের আগে থেকেই কোনও শারীরিক জটিলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য আলাদা করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত। হাসপাতাল, ওষুধ, অক্সিজেন— সব দিক থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, অযথা আতঙ্ক নয়, কিন্তু দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি। আগের অভ্যাসগুলো— হাত ধোওয়া, মাস্ক ব্যবহার, ভিড় এড়িয়ে চলা— আবারও নিয়ম করে মেনে চলার সময় এসেছে। সচেতন থাকলে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।