আরসিবি কর্তা নিখীল সুশাল : আরসিবি-র আইপিএল জয়ের আনন্দ কাটতে না কাটতেই বড় ধাক্কা খেলেন দলের মার্কেটিং কর্তা নিখীল সুশাল। কর্ণাটক হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। ফলে আপাতত জেলেই থাকছেন নিখীল, আর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিকেই এখন তাকিয়ে সবাই।
গত ৩ জুন, পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু প্রথমবারের মতো আইপিএলের ট্রফি জেতে। মাঠে বিরাট কোহলির চোখে জল, গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস, আর গোটা শহরে রাতভর উৎসব—সব মিলিয়ে সেই জয় ছিল ইতিহাস।
কিন্তু সেই উৎসবের রেশেই নেমে আসে মর্মান্তিক অন্ধকার। পরদিন সকাল থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে শুরু হয় বিজয় মিছিল। দলের তারকাদের একঝলক দেখতে হাজির হন প্রায় ২.৫ লক্ষ মানুষ। এই বিশাল জমায়েতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। হুড়োহুড়ি আর বিশৃঙ্খলায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অন্তত ১১ জনের। আহত হন আরও অন্তত ৫০ জন।
এই ঘটনার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। উঠে আসে, আরসিবি-র মার্কেটিং বিভাগ থেকেই মূলত ওই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আর সেই সূত্রেই গ্রেফতার করা হয় নিখীল সুশালকে।
জেল হেফাজতে থেকেই নিখীল দাবি করেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁর কথায়, শুধু দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি, সিদ্ধান্ত নেননি। বরং রাজনৈতিক কারণে তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে। তবে আদালত তাঁর সেই দাবি আমল দেয়নি।
অন্যদিকে, একই মামলায় কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক কর্তা ইতিমধ্যেই রক্ষাকবচ পেয়েছেন আদালত থেকে। কিন্তু নিখীল সুশাল সেই সুবিধা পাননি, যা নিয়েই উঠছে নানা প্রশ্ন।
বুধবার ফের শুনানি। সেখানে নিখীলের আইনজীবীরা জামিনের পক্ষে আরও যুক্তি পেশ করবেন বলে জানা গেছে। তবে এই মামলায় পুলিশ ও প্রসিকিউশন পক্ষও কঠোর অবস্থানে।
আরসিবি-র ট্রফি জয় যতটা ঐতিহাসিক, সেই উৎসবের ছায়া ততটাই কালো হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য। এখন আদালতের রায়ই ঠিক করবে—কার উপর গিয়ে পড়ে এই ঘটনার পুরো দায়ভার। নিখীল সুশাল কি বলির পাঁঠা, নাকি সত্যিই ছিলেন দায়িত্বজ্ঞানহীন? সময়ই দেবে উত্তর।