ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট ভারত বনাম ইংল্যান্ড ২০২৫ : ম্যাঞ্চেস্টারের চতুর্থ টেস্টে ভারতীয় দলের অবস্থা খুবই করুণ। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৫৪৪ রানের বিশাল স্কোর তুলে ফেলেছে, আর ভারত পিছিয়ে প্রায় ২০০ রানে। এই মুহূর্তে ম্যাচে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটারদের জ্বলে উঠতেই হবে। অন্তত ৪৫০ রানের মতো একটা বড়ো স্কোর গড়তে না পারলে এই ম্যাচ রক্ষা করা কার্যত অসম্ভব। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করা ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের বর্তমান ছন্দে একপ্রকার অলৌকিক ব্যাপার বলেই মনে করছেন অনেকেই।
সমর্থকদের হতাশা তুঙ্গে। তাঁরা বুঝে গেছেন, এবার হয়তো হ্যাটট্রিক টেস্ট সিরিজ হারের মুখে পড়তে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। মেলবোর্নে একমাত্র বৃষ্টি রক্ষা করেছিল ভারতকে। কিন্তু ম্যাঞ্চেস্টারে আবহাওয়া সম্পূর্ণ পরিষ্কার। ফলে এবার দলকে রক্ষা করতে হলে ব্যাটারদেরই সামনে থেকে লড়তে হবে।
এই অবস্থায় ভারতের ব্যর্থতার মূল দায় গিয়ে পড়েছে কোচ গৌতম গম্ভীরের কাঁধে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গম্ভীরের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর অধীনে টেস্ট দল যেভাবে ধারাবাহিকতা হারাচ্ছে, তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সমর্থকরা। অনেকে বলছেন, গম্ভীরের উচিত এখনই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা। কেউ কেউ তো গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন, আর কেউ বলছেন—গম্ভীর নিজের আধিপত্য কায়েম করতেই রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলির মতো সিনিয়রদের বাদ দিয়েছেন।
গম্ভীর যখন দায়িত্ব নেন, তখন তিনি বলেছিলেন নতুন যুগের সূচনা হবে। কিন্তু এখন সমর্থকদের কাছে সেই ‘নতুন যুগ’ মানে ব্যর্থতা আর দিশাহীনতা। তাঁর খেলোয়াড় বাছাই, দলগঠন কৌশল—সবকিছু নিয়েই চলছে সমালোচনা। মনে করা হচ্ছে, তিনি টেস্ট ম্যাচের ধৈর্যের খেলায় T20-এর ঝোঁক নিয়ে এসেছেন।
মাঠে ভারতের পারফরম্যান্স যদি এমনই চলতে থাকে, তাহলে শুধু এই সিরিজ নয়, গম্ভীরের কোচিং ক্যারিয়ারও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সামনে সময় আছে, কিন্তু সেই সময় খুবই কম। পঞ্চম দিনে বৃষ্টি নেই, কাজেই ব্যাটারদের লড়াই করতেই হবে। যদি একটা সম্মানজনক ড্রও টানা যায়, তাহলে হয়তো কিছুটা ভরসা ফিরে আসবে।
কিন্তু যদি এই ম্যাচটাও হেরে বসে ভারত, তাহলে দেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী প্রশ্ন তুলবেন—এ কোন নতুন ভারত গড়ে তুলছেন গৌতম গম্ভীর? সমর্থকেরা লড়াই দেখতে চান, মরিয়া মনোভাব দেখতে চান, না হলে ক্ষোভের আগুনে পুড়বেন আরেকজন কোচ, আরেকটা স্বপ্ন।