চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং
ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণের ফাঁদ ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে, এখন এটি আরও শক্ত হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং সরকার শীঘ্রই একটি জাতীয় ইন্টারনেট আইডি বাস্তবায়ন করতে চলেছে। একটি ডিজিটাল পরিচয় কার্ড প্রতিটি ব্যবহারকারীর অনলাইন পরিচয়কে সংযুক্ত করবে। এটি স্পষ্ট যে আপনি যদি এখনই মিথ্যা বলেন, সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা পরিচয় লুকিয়ে রাখার বিরুদ্ধে কিছু লিখেছিলেন, তবে সরাসরি অ্যাকাউন্টটি বন্ধ ছিল।
সরকার বলেছে যে এই ব্যবস্থাটি জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করবে এবং ডিজিটাল অর্থনীতি একটি উত্সাহ পাবে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ এই দাবিতে সন্দেহ করছেন এবং সতর্ক করছেন যে এটি জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় গভীর আহত করবে। এই দাবিটি সন্দেহ করুন এবং সতর্ক করেছেন যে লোকেরা
নাম আইডি, আসলে পর্যবেক্ষণের একটি নেটওয়ার্ক?
চীন ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি অপসারণ, অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে এবং সমালোচকদের সনাক্ত করতে একটি বড় সেন্সরশিপ সিস্টেম রয়েছে। তবে নতুন ইন্টারনেট আইডির মাধ্যমে সরকার প্রতিটি ব্যবহারকারীর বাস্তব সময় নিরীক্ষণের জন্য শক্তি পাবে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিয়াও কিয়াংয়ের মতে, এটি কেবল একটি পর্যবেক্ষণের সরঞ্জাম নয়, একটি ডিজিটাল স্বৈরশাসনের অবকাঠামো। এটির সাহায্যে সরকার একটি স্ট্রোকের সমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনও ব্যবহারকারীকে অদৃশ্য করতে পারে।
সমালোচকদের কী বলতে হবে?
সরকার বলছে যে এই আইডিটি এখনও “স্বেচ্ছাসেবী”। তবে সমালোচকরা বিশ্বাস করেন যে এটি ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় করা হবে। অধ্যাপক হাওচেন সান বলেছেন যে সরকার তার সুবিধাটি দেখিয়ে এতে যোগ দিতে বাধ্য করতে পারে। যদিও সিস্টেমের উদ্দেশ্যটি একটি নিরাপদ এবং সহজ পরিচয় ব্যবস্থা হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে, তবে ডেটা ব্রিচের ঝুঁকিও আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যে ২০২২ সালে, চীনা পুলিশের একটি ডেটা বেস ফাঁস হয়েছে, যার এক বিলিয়ন লোকের তথ্য ছিল।
যখন প্রতিবাদ করা হয়েছিল নীরবতা
গত বছর যখন এই আইডি সিস্টেমের প্রস্তাব এসেছিল, তখন কিছু আইন অধ্যাপক এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলি এর প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিল। তবে ধীরে ধীরে সমস্ত প্রতিবাদের সুরটি অদৃশ্য হয়ে গেল। মে মাসে চূড়ান্ত বিধি জারি হওয়ার সাথে সাথে অনলাইন সমালোচনা প্রায় নম্বরে দেখেছিল। সরকারী গণমাধ্যমের মতে, 60০ লক্ষ লোক ইতিমধ্যে এই আইডি গ্রহণ করেছে, অন্যদিকে দেশের অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা 1 বিলিয়নেরও বেশি। যাইহোক, এই চিত্রটিও এই বিপদের একটি ইঙ্গিত যা ধীরে ধীরে এই ‘স্বেচ্ছাসেবী’ সিস্টেমকে প্রয়োজনীয় করে তুলবে।