আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা : আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৯৭ জন। বিমানটি ভেঙে পড়ে একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর। ফলে বিমানের যাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে হস্টেলে থাকা বহু পড়ুয়ারও মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, হস্টেলের অন্তত ৫৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গোটা দেশ জুড়ে শোকের ছায়া। এই ঘটনার পরদিন সকালেই আহমেদাবাদে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সকাল ৯টা নাগাদ বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে বিমানবন্দর ও আশেপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়। দুর্ঘটনাস্থলে রওনা দেন মোদি। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি আর পাটিল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তারা।
সকাল ৮টা ৩০-এ আহমেদাবাদে পৌঁছন প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির স্ত্রী অঞ্জলি রূপানি। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রূপানিরও। অঞ্জলির সঙ্গে দেখা করেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। কিছুক্ষণ পর সেই শোকস্তব্ধ পরিবারটির সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীও।
প্রধানমন্ত্রী মোদি যান সেই একমাত্র বেঁচে যাওয়া যাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে, যিনি বর্তমানে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি, আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে।
এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে এখনও কাজ করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ছয়টি দল। ধ্বংসস্তূপের তলায় কেউ জীবিত রয়েছেন কি না, সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে DGCA। সবকিছু খতিয়ে দেখছে বিশেষজ্ঞ দল।
এই দুর্ঘটনা কেবল সংখ্যায় বিপুল প্রাণহানির ঘটনা নয়, এটি দেশের হৃদয়ে এক গভীর ক্ষত। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এত বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটল, কোন গাফিলতিতে এই মর্মান্তিক পরিস্থিতির সৃষ্টি?
বর্তমানে গোটা দেশ মৃতদের প্রতি শোক প্রকাশ করছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত হয়ে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়িয়েছেন। দেশের মানুষ চাইছে, এই ঘটনার পূর্ণ সত্য বেরিয়ে আসুক, এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে—তা নিশ্চিত করা হোক।