অভ্যুত্থানও কাজ করেনি … দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষমতার সমীকরণ পরিবর্তিত হয়েছে, লি জে-মুং নতুন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন

লি জে-মুং নতুন রাষ্ট্রপতি হন।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। লিবারাল পার্টির প্রার্থী লি জে-মুং অভ্যুত্থানের ছায়া এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জিতেছেন। বিশেষ বিষয়টি হ’ল রক্ষণশীল দলের প্রার্থী এবং প্রাক্তন অভ্যুত্থান সমর্থক কিম মুন-সু ফলাফলের পরে বিনীতভাবে তার পরাজয়কে মেনে নিয়েছিলেন এবং গণতন্ত্রকে সম্মান জানিয়ে প্রকাশ্যে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

কিম মুন সু, গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় বলেছিলেন যে আমি জনগণের সিদ্ধান্তকে বিনয়ের সাথে গ্রহণ করি। আমি লি জে-মুংকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাই। এই বিবৃতিটি এমন এক সময়ে এসেছিল যখন সারা দেশে নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা আরও তীব্র করা হয়েছিল। দুই নেতার মধ্যে একটি কঠিন প্রতিযোগিতা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের কণ্ঠস্বর ক্ষমতার দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করে।

হারানো নির্বাচন হারিয়েছে, তবে হৃদয় জিতেছে

এই নির্বাচন সম্পর্কে দেশে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে কিম মুন-সুকের শান্ত ও সম্মানজনক অবস্থান রাজনৈতিক পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখতে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। লি জে-মুংয়ের বিজয়কে একটি নতুন আশা হিসাবে দেখা হচ্ছে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার উদার রাজনীতিকে একটি নতুন শক্তি এবং দিকনির্দেশনা দিতে পারে। এই নির্বাচনটি পরিষ্কার করে দিয়েছে যে অভ্যুত্থানের মতো কৌশলগুলি গণতন্ত্রের সামনে দাঁড়াতে পারে না।

অভ্যুত্থান কেন ছিল?

দক্ষিণ কোরিয়ায়, একটি অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি ঘটেছিল যখন রাষ্ট্রপতি ইউনিটগুলি হঠাৎ করে সামরিক আইন (সামরিক বিধি) চাপানোর ঘোষণা দেয়। তিনি দাবি করেছিলেন যে এই পদক্ষেপটি উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনী এবং দেশের মধ্যে জাতীয় বিরোধী উপাদানগুলির সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়।

কিন্তু এই সিদ্ধান্ত দেশকে আলোড়িত করেছিল। জনগণ অনুভব করেছিল যে সরকার গণতন্ত্রের অবসান ঘটায়। আড়াই ঘণ্টার মধ্যে, সংসদের ১৯০ জন সদস্য (জাতীয় পরিষদ) সামরিক আইন অপসারণের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। এর পরে, সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। লোকেরা রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিল, বিরোধী নেতারা সংসদের বাইরে বাছাই শুরু করেছিলেন। জনসাধারণ এই পদক্ষেপকে একটি স্বৈরশাসন বলে অভিহিত করেছিলেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি করেছিলেন। এই কারণেই রাষ্ট্রপতি, যিনি ক্ষমতায় ছিলেন, তাকে পশ্চাদপসরণ করতে হয়েছিল এবং শীঘ্রই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে লি জে-মুং জিতেছিলেন।