এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা ১২ জুন : আজকের দিনটা যেন একটা দুঃস্বপ্ন ১২ জুন। আকাশে স্বপ্ন নিয়ে উড়েছিল একটা বিমান— এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার ৭৮৭ । ২৪২ জন মানুষ। প্রত্যেকে নিজের মতো করে ব্যস্ত ছিলেন জীবনের নানা কাজে—কারও অফিস, কারও পরিবার, কারও নতুন জীবনের শুরু, কারও হয়তো শেষ দেখা। কিন্তু কে জানত, সেই স্বপ্নের যাত্রা এমন দুঃস্বপ্নে বদলে যাবে।
বিমানে চড়ার সময় কেউই ভাবে না এটাই হয়তো শেষ যাত্রা। আহমেদাবাদ থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটা ভেঙে পড়ল। বিকট শব্দ, আগুনের লেলিহান শিখা, আর তারপর নিঃশব্দতা। যেন পুরো আকাশটা থেমে গেল। মাটির উপর শুধু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রইল জ্বলন্ত ধ্বংসস্তূপ, ছিন্নভিন্ন যাত্রীদের জিনিসপত্র।
অনেকে টিভি দেখে বা ফোনে খবর পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি । পরিবার, বন্ধু, প্রিয়জন—কারও নাম থাকলে কী হবে? ফোন লাগছে না, কেউ উত্তর দিচ্ছে না, এ যেন বুকের ভিতরটা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো একটা ভয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, তিনি শোকাহত। তিনি বললেন, “এই মুহূর্তে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া কিছু করার নেই।” কথাটা শুনলে বুকটা আরও ভারী হয়ে যায়।
এই বিমানটা কারও জন্য ছিল একটা নতুন শুরু। কেউ বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে। কেউ হয়তো অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ফিরছিল নিজের শহরে। ভাবতেই গা শিউরে ওঠে—এই মানুষগুলো এখন কোথায়?
উদ্ধারকাজ চলছে ঠিকই, কিন্তু ভিতরে একটা আশা-নিরাশার টানাপোড়েন। কেউ যদি অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকে? কেউ যদি গল্প নিয়ে ফিরে আসে? একটা প্রাণ, একটা দিশা?
আসলে এই মুহূর্তে যাঁরা কাউকে হারালেন,তাঁদের পাশে দাঁড়ানো,কাঁধে হাত রাখা ছাড়া কিছু করার নেই। যারা নিখোঁজ, তাদের জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
একটা বিমান ভেঙে পড়ল মানেই শুধু একটা যন্ত্র ভেঙে পড়েনি— ভেঙে পড়ল অনেকগুলো পরিবারের ঘর, অনেকগুলো সম্পর্ক, অনেকগুলো স্বপ্ন।
আজকের আকাশ শুধু কালো নয়, নিঃশব্দ। শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছে—যারা হারিয়ে গেলেন, তাঁরা শান্তিতে থাকুন। আর যাঁরা ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন, তাঁদের যেন আর কষ্ট না পেতে হয়।